এম এম লিংকন: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, আমাদের কি কোন দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। 

[৩] মঙ্গলবার (১৯ মার্চ)  রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তুলেন তিনি। 

[৪] বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে। বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গীবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গীবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। 

[৫] গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। 

[৬] এ সময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচনের আগে  কিংস পার্টি খ্যাত বিএনএম- তে যোগদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বিষয়টি মিডিয়ায় দেখেছি।  এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন পার্টির কাছে যাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না। 

[৭] বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া নিয়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ভারতকে বুঝিয়েছে। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। নির্বাচনও হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না।

[৮] বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদন্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। 

[৯] এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট  বলেছেন, আমি নির্বাচিত না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে  সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজে মানদণ্ড বোঝা মুশকিল। 

[১০] আমাদের দেশে ২১ বছর সামরিক শাসক এবং তার অনুসারীরা ক্ষমতায় ছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল না। গণতন্ত্রের নামে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করেছে। 

[১১] এ সময় ২৯ টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে তিনি জানান, সরকারের বেধে দেওয়া কিছু পণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোন কমতি নেই। অপেক্ষা করুন। চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

[১২] এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম,  দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান